Thursday, December 15, 2016

শারীরিক অসুস্থতা, ক্লান্তি, অবসাদ ও অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকার কারণে মুখে দাগ-ছোপ ভরে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলে ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’। এই ধরনের দাগ আকারে ও রঙে একএকজনের মুখে ভিন্ন হতে পারে। ঠিক কী কারণে তা হয়েছে তার উপরে নির্ভর করে এই সমস্যার আকার ও চরিত্র। মুখ ছাড়াও গলা, হাত কাঁধ ও নিতম্ভে দাগ-ছোপ ও ফুসকুড়ি হতে পারে। এই সমস্যার সম্মুখীন হলে অনেকেই তাতে খুব একটা নজর না দিয়ে এড়িয়ে যান। আবার কেউ কেউ মেক-আপ করে তা ঢাকার চেষ্টা করেন। ত্বকের যত্ন না নেওয়া যেমন ঠিক নয়, এসব ক্ষেত্রে বাজারজাত নানা প্রসাধনী ও পথ্য ব্যবহার করাও তেমন উচিত নয়। এতে চামড়ার উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
http://kissskincarebd.blogspot.com/
 তার চেয়ে এই ঘরোয়া উপায়ে দাগ-ছোপের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন আপনি। চলুন জেনে নিই উপায় গুলো...... লেবু : কালো ছোপ কমাতে লেবুর রস ভীষণ কার্যকরী। সরাসরি মুখে লেবুর রস মাখতে পারেন। অথবা লেবুর টুকরো কেটে নিয়ে ঘষে নিতে পারেন। বাটারমিল্ক : আপনার ত্বক সেনসিটিভ হলে বাটারমিল্ক সবচেয়ে ভালো অপশন হতে পারে। কালো ছোপ দেওয়া জায়গায় এটি লাগান। এতে লেবুর রস, ট্যোম্যাটোর রস মেশাতে পারেন। আলু : কালো ছোপ মুখে পড়লে আলুর রস আপনাকে বাঁচাতে পারে। রস তৈরি করে তা মুখে তুলোর বলে করে মাখুন। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। দই : ত্বক সুন্দর করতে দইয়ের জুড়ি নেই। দইয়ের পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। মুখে রেখে শুকিয়ে গেলে তা তুলে ফেলুন। অ্যালো ভেরা : অ্যালো ভেরা ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এর পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। দাগছোপ দূর করতে এটি বিশেষ উপযোগী। হলুদ : ত্বককে দাগহীন করার জন্য বহুকাল ধরেই হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। এর চেয়ে ভালো সমাধান আর কিছু হতে পারে না। পেপে : পেপের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বককে ফ্রেশ লুক দিতে পারে। পেপের পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে মাখুন। কালো ছোপ সহজেই দূর হবে। চন্দন কাঠ : মুখের ছোপ দূর করতে চন্দনের চেয়ে ভালো কিছু আর নেই। চন্দন কাঠের গুড়ো গোলাপ জল ও গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন।

0 comments:

Post a Comment