মাত্র ১৫ দিনে কমিয়ে ফেলুন ৩৩ কেজি ওজন!

http://kissskincarebd.blogspot.com/
ওজন কমানোর জন্য আমরা কত ভাবেই না চেষ্টা করি। দেখা যায় পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করার পরও অনেকেরই ওজন সহজে কমতে চায় না। এই ডায়েট প্ল্যানটিকে গত কয়েক বছরের মাঝে সবচেয়ে কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান হিসাবে ধরা হয়। অনেকের দ্বারা স্বীকৃত এবং অনেকেই এর মাধ্যমে ভালো ফল পেয়েছেন। যারাই এটা অনুসরণ করেছেন তারাই ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করেছেন। তাই ব্যায়াম ছাড়া শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সবাই যেন প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে পারেন এরকম একটি ডায়েট প্ল্যান জানাচ্ছি।
এই ডায়েট প্ল্যানটি ১৫ দিনের জন্য। অর্থাৎ সপ্তাহে ৫ দিন করে ৩ সপ্তাহ অনুসরণ করতে হবে। এই ১৫ দিনে সকালে একই নাস্তা খেতে হবে প্রতিদিন। সেটা হলো-
সকালের নাস্তা
ফল-১ টি (কমলা, নাসপাতি, পিচ, বাঙ্গি, তরমুজ বা যেকোনো ফল। তবে কলা আর আঙ্গুর ছাড়া)
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ১টি
চা/কফি- ১ কাপ (চিনি ছাড়া)
১ম দিন যা খাবেন
দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ
রাতে-
টমেটো- ২টি (কাঁচা বা সেদ্ধ)
ডিম সেদ্ধ- ২টি
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ২টি
শশা- ১টি
২য় দিন যা খাবেন
দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ
রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম (কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ১টি
কমলা- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
চা/কফি- ১কাপ (চিনি ছাড়া)
৩য় দিন যা খাবেন
দুপুরে-
কমলা-১টি,
ডিম সেদ্ধ-১টি,
টক দই- ১কাপ
শশা-১ টি
রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম(কম মশলায় রান্না করা)
কমলা- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
চা/কফি- ১কাপ (চিনি ছাড়া)
৪র্থ দিন যা খাবেন
দুপুরে-
পনির- ১৩৬গ্রাম
টমেটো- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
রাতে-
গরুর মাংস- ১৩৬ গ্রাম (কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ২টি
আপেল- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট- ১টি
৫ম দিন যা খাবেন
দুপুরে-
যেকোনো মাছ- ২৩০গ্রাম(কম মশলায় রান্না করা)
টমেটো- ১টি
টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট- ১টি
৬ষ্ঠ দিন ও ৭ম দিন কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই যেকোনো খাবার খেতে পারেন তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মাঝে থেকে এবং তেল মশলা কম দিয়ে।
এভাবে খাওয়ার ৫ দিন পর ৫-১০ পাউন্ড ওজন কমবে। ঠিক এভাবে ২ দিন বাদ দিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন করে ৩ সপ্তাহে ৩ বার এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করতে হবে। তাহলে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রায় ৩৩পাউন্ডের মতো ওজন কমার সম্ভাবনা আছে। এরপর স্বাভাবিক খাবারে ফিরে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে হারানো ওজন যেন আবার ফিরে না আসে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস রাখতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় প্রতি সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে নিচে উল্লেখিত খাবার তালিকাটি অনুসরণ করলে হারানো ওজন আবার ফিরে আসবেনা।
সকাল- এক কাপ লেবুর জুস চিনি ছাড়া
দুপুরে- ১টি আপেল, ১টি টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট
রাতে- ১টি সেদ্ধ ডিম, ১টি টমেটো, ১টি টোষ্ট বিস্কিট/ব্রেড টোষ্ট
টিপস
• গরুর মাংস, সবজি রান্না করার সময় রিফাইন মশলা ব্যবহার করা যাবে না।
• বাটার টোষ্ট বিস্কিট খাওয়া যাবে না।
• চাইলে সেদ্ধ মাংস বা মাছ সবজির সাথে সালাদ করে খেতে পারেন।
সতর্কতা- অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থরাই এটা অনুসরণ করবেন।
লেখক
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)
সূত্র: প্রিয় লাইফ

মাত্র ২ টি সহজ ব্যায়াম কোমরের মেদ কমাবে

http://kissskincarebd.blogspot.com/

কোমরের মেদ ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘লাভ হ্যান্ডেলস’ খুবই বিরক্তিকর মেদ। কোমরের দুইপাশে উঁচু হয়ে ফুলে থাকা মেদকেই মূলত কোমরের মেদ বলা হয়। যে পোশাকই পড়ুন না কেন, এই মেদ দেখা যাবেই এবং দেখতে বেশ বিশ্রীও লাগে। অনেকেই এই মেদ নিয়ে বেশ বিপদেই পড়ে থাকেন। খুব সহজে কমানো যায় না এই মেদ। আপনি ডায়েট করেও এই মেদ কমাতে পারবেন না। এই ধরণের কোমরের মেদ দূর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে সঠিক ব্যায়াম। মাত্র ২ টি ব্যায়ামের মাধ্যমেই এই মেদ কমানো সম্ভব। তবে, এই ব্যায়াম দুটি অবশ্যই নিয়মিত করতে হবে। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক ব্যায়াম দুটি। 

১) বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ  

এই ব্যায়ামটি কোমরের দুইপাশের মেদ কমাতে খুব কার্যকরী ব্যায়াম। ব্যায়ামটি করতে একটি সমতল স্থানে হাঁটু ৯০ ডিগ্রি করে বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত মাথার পিছনে রাখুন এবং কুনুই ছড়িয়ে রাখুন মেঝেতে। এবার সাইকেল চালানোর মতো করে দুই পা মুভ করতে থাকুন। প্রথম প্রথম এই ব্যায়ামটি ১৫ বার করে করবেন। ধীরে ধীরে এর মাত্রা এবং গতি দুটিই বাড়িয়ে দেবেন। খুব দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবেন।

২) রাশিয়ান টুইস্ট
দুই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে মেঝেতে বসুন। এরপর শুধুমাত্র কোমর এবং কোমরের পেছনের অংশের উপর ভর দিয়ে পা দুটি মেঝে থেকে সামান্য উপরে তুলে নিন। এবার দুহাত একসাথে করে রেখে দেহের উপরের অংশ একবার ডানে এবকবার বামে ঘোরান। ভাবে প্রাথমিকভাবে ১৫ বার করে করবেন। ধীরে ধীরে এর মাত্রা এবং গতি দুটিই বাড়িয়ে দেবেন। খুব দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবেন।
সূত্র: প্রিয় লাইফ

 

মাত্র ১টি কাজ করে দ্রুত হাত ও পেটের মেদ কমিয়ে ফেলুন!

http://kissskincarebd.blogspot.com/
হাত ও পেট মোটা হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ঝামেলায় ভুগে থাকেন। আর সমস্যা হচ্ছে, ডায়েট বা ব্যায়াম করে হাত বা পেটের মেদ সহজে কমানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া অনেকের পক্ষে ডায়েট করা সম্ভব হয় না, অন্যদিকে ব্যায়ামও করারও সময় বা সুযোগ নেই। অনেকেই জানেন না কোন ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। সবমিলিয়ে হাত ও পেটের মেদ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকেই।
কিন্তু না, মন খারাপের দিন শেষ। কেননা এই হাত ও পেটের মেদ কম করার জন্য আছে একটি মাত্র কৌশল। এই কৌশলটি অবলম্বন করতে আপনাকে ডায়েট করতে হবে না, ব্যায়াম করতে হবে না, জিমে যেতে হবে না। নিজের ঘরে বসেই খুব সহজে ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন হাত ও পেটের মেদ, একই সাথে ওজন কমে শরীরটাও হয়ে উঠবে ঝরঝরে।
কী করবেন? করবেন একটি সাধারণ কাজ। আপনার বাড়িতে নিশ্চয়ই ঘর মোছার জন্য কাজের বুয়া আছে? এই কাজের বুয়ার বদলে ঘর মোছার কাজটি আজ থেকে আপনিই করুন। খুব ভালো হয় যদি দিনে দুইবার ঘর মুছতে পারেন। দুবার না পারলে অন্তত একবার অবশ্যই মুছুন। তবে দুবার মুছলে উপকার বেশী পাবেন।
ঘর মোছার সময়ে আপনার হাত ও পেটের ব্যায়াম তো হয়ই, একই সাথে সম্পূর্ণ শরীরেরও ব্যায়াম হয়। ওজন কমানোর মূল শর্ত অধিক ক্যালোরি পোড়ানো। আর ঘর মুছলে খুব অল্প সময়েই দেহ থেকে অনেক বেশী ক্যালোরি ঝরে যায়। ফলে ওজন কমতে থাকে।
অন্যদিকে কোন বিশেষ স্থানের মেদ কমানোর পূর্বশর্ত হচ্ছে, সেই স্থানে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করা। ঘর মুছলে আপনার হাত ও পেটে চাপ পড়ে, যা উক্ত স্থানের মাসল গুলোকে কর্মক্ষম করে তোলে ও চর্বি পুড়িয়ে আপনাকে করে তোলে স্লিম।
টিপস –
কেবল ঘর মুছলেই হবে না, একটি ছোট্ট উপায় মেনে কাজটি করলে আরও কার্যকরী হবে। ঘর মোছার শুরুতে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করে নেবেন। আবার ঘর মোছা শেষ হলে আরও এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। এই কুসুম গরম পানি আপনার দেহ থেকে ক্ষতিকর চর্বি ও টক্সিক উপাদান বের করে দেবে। নিয়ম করে কিছুদিন ঘর মুছুন, মাত্র এক সপ্তাহেই দেখতে পাবেন যে মেদ কমতে শুরু করেছে।
ঘর মোছার পাশাপাশি আরও করতে পারেন জানালা দরজা পরিষ্কার করা, বিছানা পাতা ইত্যাদি কাজ।

কম উচ্চতার নারীদের জন্য ৭টি ফ্যাশন টিপস্‌

লম্বা নয় এমন নারীরাও আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী হতে পারেন। আর তাদের ফ্যাশনেরও বহু সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এসব বিষয় ঠিকঠাক না জানার কারণে তা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
১. অনেকেই উঁচু হিল জুতা পরে স্টাইল করতে পছন্দ করেন। যদিও বিষয়টি সব সময় যে প্রয়োজনীয়, তা নয়। আপনার উঁচু জুতার প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনে বেরিয়ে আসতে পারেন। মাঝারি উঁচু জুতা কিংবা ফ্ল্যাট জুতাও অনেক কম লম্বা মেয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পায়ের আরাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২. থাই হাই বুট বা উঁচু জুতা সব সময় যে আপনার জন্য কাজ হবে এমনটা নয়। এ ক্ষেত্রে হিডেন হিল সহ হাই বুট হতে পারে একটি ভালো সমাধান।

৩. বহু কাপড় বা বেশভূষা অতিরিক্ত বড় দেখা যায়? নিজের জন্য পছন্দনীয় কাপড় পান না? পেটিট সেকশন থেকে বা কিডস সেকশনের বড় পোশাকগুলো খুঁজে দেখুন।
৪. অ্যাক্সেসরিজ বিরক্ত করে? এ ক্ষেত্রে বাড়তি অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার বাদ দিন। জুয়েলারি যেন আপনাকে মাত্রাতিরিক্ত ঢেকে না রাখে, এ জন্য নজর দিন।
৫. কাপড় একবার কেনার পর তা পাল্টানো অনেকের পক্ষেই ঝামেলার বিষয়। এ ক্ষেত্রে পোশাক কেনার সময়েই সাইজের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন। এতে আপনার অনেক ঝামেলা ও অর্থ বাঁচবে।
৬. ম্যাক্সি, স্কার্ট ও অন্যান্য ড্রেসগুলো আপনার ভীতির কারণ? এ ক্ষেত্রে হলিউডের অভিনেত্রী সালমা হায়েক কিংবা ইভা লঙ্গোরিয়াকে অনুসরণ করুন।
৭. বড় আকারের টি-শার্ট ও সোয়েটার আপনার জন্য সমস্যার? এ ক্ষেত্রে বড় সাইজের বদলে রেগুলারই সঠিক মাপের নিতে হবে। এ ছাড়া বড় টপের সঙ্গে স্লিক লেগিং ও হিল পরা যেতে পারে।

নিদ্রাহীনতা… কেন? প্রতিকার কী?

নিদ্রাহীনতা… কেন? প্রতিকার কী?

বর্তমান সময়ে এমন নিদ্রাহীনতা কিংবা ইনসমনিয়ার সমস্যা বিভিন্ন মানুষের মাঝে দিনকে দিন যেন বেড়েই চলেছে। যার ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় সারাদিনের দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। তবে বেশিরভাগ মানুষই একে খুব একটা আমলে নেন না যা পরবর্তী সময় গুরুত্বপুর্ণ সমস্যার কারণ হতে পারে।

নিদ্রাহীনতা কেন হয়?
বিভিন্ন কারণেই এই নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে। কখনো কখনো নিদ্রাহীনতা হয় ক্ষণিক সময়ের জন্য, কখনো আবার বেশ অনেকদিন ধরে। আবার ব্যক্তিভেদেও নিদ্রাহীনতার কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে পূর্বের তুলনায় এখনকার সময়ে নিদ্রাহীনতার সমস্যা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি এই সমস্যায় পড়েন তরুণ তরুণীরাই। সাধারণত  বিভিন্ন রকমের দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, ভয় এসব থেকেই ইনসমনিয়ার শুরু। এছাড়া খাবারে অনিয়ম, অতিরিক্ত সময় ধরে টিভি দেখা, কম্পিউটারের পর্দার সামনে বসে থাকা, শারীরিক অন্য কোন সমস্যা থেকেও নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। আবার সারাদিনের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম, মনোযোগের সমস্যা, ঘুমানোর স্থান পরিবর্তন এসব কিছুর উপর ভিত্তি করেও নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে।
কী করে হবে প্রতিরোধ? কিংবা প্রতিকার?
ঘুম নেই? তাতে কী? তার জন্য আলাদা করে ভাবনার কী আছে? এমন উদাসীনতায় চলতে থাকা সময়টাই যে শরীর ও মনের জন্য কতটা বিরূপ প্রভাব ডেকে আনে তা হয়তো অনেকটা অগোচরেই থেকে যায়। আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্বান্ত হলো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত ঘুমের ওষুধ খাওয়া। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো যাতে নিদ্রাহীনতার সমস্যা যাতে আপনাকে ছুঁতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া। নিদ্রাহীনতা যাতে আপনার জন্য কোন সমস্যা না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য আগেভাগেই সচেতন হওয়াটা জরুরী। নিদ্রাহীনতা যাতে না হয় সেক্ষেত্রে  যেসব পন্থা অবলম্বন করতে হবে তা হলোঃ
  • সঠিক খাদ্যাভাস বজায় রাখা নিদ্রাহীনতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খুব বেশি তেলমশলা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করা যায় পরিহার করুন।
  • প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন।
  • প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে কিংবা পড়ন্ত বিকালে কিছুটা সময় ব্যায়াম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
  • রাতের খাবারের পর একেবারে সাথে সাথে না ঘুমিয়ে কিছুটা বিরতি নিন। হালকা হাঁটাচলা করুন, বই পড়ুন। তারপর সময়মতো ঘুমাতে যান।
  • রাতে শোবার ঘর একেবারে অন্ধকার না হলে অনেকের ঘুম আসেনা। তাই শোবার ঘরের পরিবেশ অন্ধকার করলে তা ঘুম আসার সহায়ক হতে পারে।
এসবের পরেও নিদ্রাহীনতার সমস্যা না কাটলে আপনার করনীয় হতে পারে,
  • কোন কিছু মনে রাখার বা শেখার চেষ্টা করুন। অথবা নিজের ব্যক্তিগত কোন ধ্যান ধারণা নিয়ে ভাবুন। এতে করে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে আলস্য ভর করবে এবং তা ঘুম আসতে সহায়ক হবে।
  • ঘুম না আসলে বিছানায় এপাশ ওপাশ না করে উঠে পড়ুন এবং কোন কাজে লেগে যান। যেমন বই পড়া কিংবা কাপড় গোছানো। এতে করে মস্তিষ্কের আলস্য বৃদ্ধি পাবে এবং দ্রুত ঘুম আসবে।
  • ইয়োগা কিংবা মেডিটেশন অনিদ্রার সমস্যার ভালো সমাধান হতে পারে।
  • অনিদ্রার সমস্যা খুব বেশি হলে চা-কফি এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এবং খাদ্যদ্রব্য পরিহার করুন।
  • কোনকিছুতেই সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে না জেনে, না বুঝে ভুল ঘুমের ওষুধ কখনোই সেবন করবেন না। 

0 comments:

Post a Comment