ভদ্র মেয়েরা হচ্ছে সমাজের সৌন্দর্য। এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা ভদ্র মেয়ে বিয়ে করবেন এই ভেবে বিয়েই করছেন না, অথচ বিয়ের বয়স যাচ্ছে পেরিয়ে।
http://kissskincarebd.blogspot.com
আসুন কিছু কমন বৈশিষ্ট্য দেখে চিনে নেই সত্যিকারের ভদ্র মেয়ে:
১) ভদ্র মেয়েরা সর্বপ্রথম তাদের পোশাক নিয়ে খুব সচেতন থাকে। এমন কিছু পরে না যাতে করে বাহিরের কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস করে। অনেকে বোরখা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
২) ভদ্র মেয়েরা প্রেমের ব্যাপার নিয়ে খুব সিরিয়াস থাকে। তারা সচারচর প্রেমে জড়াতে চায় না, কিন্তু যদি কারো সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়, তাহলে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে তা টিকিয়ে রাখতে।
৩) ভদ্র মেয়েরা সবসময় বন্ধু, পরিবার এবং বয়ফ্রেন্ডকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। একটির জন্য অপরটির উপর প্রভাব পড়ুক তা তারা চায় না। যার জন্য তাদের ঝামেলা পোহাতে হয় বেশি।
https://www.facebook.com/glamourstylebd
৪) ভদ্র মেয়েদের রাগ একটু বেশি। যার উপর রেগে যায় তাকে মুখের উপর সব বলে দেয়। মনে কোনও রকম রাগ, হিংসে লুকিয়ে রাখে না। এতে অনেকের কাছে ঝগড়াটে উপাধিও পেয়ে বসে।
৫) ভদ্র মেয়েদের রাগের ঝামেলা পোহাতে হয় বিশেষ করে তাদের বয়ফ্রেন্ডকে। এরা রেগে থাকলে অযথা বয়ফ্রেন্ডকে ঝাড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সরি বলে। যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে সরি বলে তাহলে বুঝতে হবে সে তার বয়ফ্রেন্ডকে খুব বেশি ভালোবাসে।
৬) ভদ্র মেয়েরা সাধারণত ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয় না। যদি দেয় তাহলে প্রাইভেসি দিয়ে রাখে। ফেসবুকে কতিপয় লুলু পুরুষ থেকে তারা ১০০ হাত দূরে থাকে।
৭) ভদ্র মেয়েদের বন্ধু/বান্ধবের সংখ্যা খুব সীমিত থাকে।
৮) ভদ্র মেয়েরা আড্ডা বাজিতে খুব একটা যেতে চায় না। যার জন্য তাদের বন্ধু/বান্ধব থেকে ভাব্বায়ালি/আনকালচার খেতাব পেতে হয়।
৯) ভদ্র মেয়েদের কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ বেশি। তারা তাদের লেখা কবিতা সচরাচর কাছের মানুষ ছাড়া কাউকে দেখাতে চায় না।
১০) ভদ্র মেয়েরা সাধারণ ঘরকুনো স্বভাবের বেশি হয়।
১১) ভদ্র মেয়েদের কাছে পরিবারের সম্মানটুকু সবার আগে। তারা পরিবারের সম্মানের বিরুদ্ধে কোনও কাজ কখনও করে না।

‘ব্লাশন’ এর ব্যাবহার

http://kissskincarebd.blogspot.com
অফিস, মিটিং বা কোনো ডিনার পার্টিতে যাবেন। অথচ সাজগোজের জন্য আপনার হাতে একদম সময় নেই। কী করবেন? মেকআপের একটি উপকরণ আপনাকে দিতে পারে সমাধান। তা হলো ব্লাশন। এ রকম মুহূর্তে ত্বকের ন্যাচারাল টোনের সঙ্গে মিলিয়ে গাল রাঙিয়ে নিন গোলাপি বা চেরি রঙা ব্লাশন দিয়ে।
ব্লাশ নিস্তেজ, নিষ্প্রাণ ত্বককে করে তোলে দীপ্তিময়। ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের জন্য বল্গাশনের ধরনও ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত বাজারে পাউডার, ক্রিম, লিকুইড ও জেলরূপে ব্লাশন পাওয়া যায়। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা তারা ব্যবহার করতে পারেন গোলাপি, অ্যাপ্রিকট রঙের ব্লাশন। যারা একটু শ্যামবর্ণ, তারা ব্লাশনে গাঢ় শেড ব্যবহার করবেন।
পাউডার ব্লাশন
সব ধরনের ত্বকের জন্যই পাউডার ব্লাশন উপযোগী। এটি ত্বকে ম্যাট ফিনিশিং দেয়। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য অধিক কার্যকর।
যেভাবে লাগাবেন
সাধারণত পাউডার ব্লাশনের সঙ্গে ছোট ও কম ব্রিসলযুক্ত ব্রাশ পাওয়া যায়। এ ধরনের ব্রাশ ব্লাশন লাগানোর জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। পাউডার ব্লাশন লাগাতে ঘন ও মোলায়েম ব্রিসলের মোটা ব্লাশন ব্রাশ ব্যবহার করুন। ব্লাশন লাগানোর সময় আয়নার সামনে হাসুন। হাসলে গালের যে অংশ ফুলে ওঠে তাকে অ্যাপল বলে। সার্কুলার মোশনে গালের অ্যাপলে ব্লাশন লাগান। তৈলাক্ত ত্বকে ব্লাশন ব্যবহারের আগে সামান্য লুজ পাউডার লাগাতে পারেন।
ক্রিম ব্লাশন
ময়েশ্চারাইজার থাকায় সাধারণত যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য ক্রিম ব্লাশন উপযোগী।
যেভাবে লাগাবেন
গালের অ্যাপলে ছোট ছোট ডটের মতো ব্লাশন লাগান। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে সার্কুলার মোশনে ব্লেন্ড করুন। ম্যাট ফিনিশ দিতে চাইলে ক্রিম ব্লাশন লাগানোর পর সামান্য পাউডার ব্লাশন লাগাতে পারেন।
লিকুইড ও জেল ব্লাশন
কোনো রকম টাচআপ ছাড়া যারা দীর্ঘ সময় গালের ব্লাশের রঙ ধরে রাখতে চান তাদের জন্যই লিকুইড বা জেল ব্লাশন। ওয়াটারপ্রুফ এ ব্লাশন স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বকের জন্য উপযুক্ত। তবে, শুষ্ক ত্বকে এ ধরনের ব্লাশন ব্যবহার না করাই ভালো।
যেভাবে লাগাবেনhttp://kissskincarebd.blogspot.com
হাতের আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে গালের অ্যাপলে সার্কুলার মোশনে ব্লাশন লাগিয়ে নিন। দ্রুত লাগান, কারণ এ ব্লাশন সহজেই শুকিয়ে যায়। আর শুকিয়ে গেলে পানি বা ক্লিনজার ছাড়া ব্লাশন তোলা সম্ভব নয়। লিকুইড বা জেল ব্লাশন লাগানোর আগে প্রাইমার বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু পাউডার লাগানো চলবে না।
মুখের গড়ন অনুযায়ী ব্লাশন
মুখের গড়ন অনুযায়ী ব্লাশন লাগানোটা খুবই জরুরী। ডিম্বাকৃতির মুখে দিনের বেলায় গালের অ্যাপলে ব্লাশন লাগান। রাতে গালের অ্যাপল ছাড়াও নাকের ওপরে সামান্য ব্লাশন হালকা করে লাগাতে পারেন। হার্ট শেপের মুখে অ্যাপলের ঠিক নিচে চোয়ালের হাড় বরাবর ব্লাশন লাগান। গোলাকৃতির মুখে চিকবোন ও চোয়ালের মাঝে উজ্জ্বল রঙের ব্লাশন লাগান। লম্বাকৃতির মুখে গালের অ্যাপল থেকে কান বরাবর ব্লাশন লাগান।

 

 

যে ১০টি ভুলের কারণে গোসলের আগে ও পরে আপনার চুল পড়ে অনেক বেশী!

http://kissskincarebd.blogspot.com/
চুলের এত যত্ন করেন, দামী শ্যাম্পু মাখেন, পার্লারে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করান, সকল নিয়ম মেনে চলেন, তবুও পড়ে চুল? তাহলে জেনে রাখুন, ভুল লুকিয়ে আছে আপনার গোসল করা বা চুল ধোয়ার পদ্ধতির মাঝে! অনেকেরই, বিশেষ করে মেয়েদের চুল পড়ার একটি বিশাল কারণ হচ্ছে এই ভুলগুলো। জেনে নিন ১০টি ভুল, যেগুলো কমবেশি আমরা সবাই করি।
১) সবচাইতে বোর যে ভুলটি করি আমরা, সেটি হচ্ছে রোজ চুল ধোয়া। হ্যাঁ, রোজ গোসল করা খুবই জরুরী, কিন্তু রোজ চুল ধোয়া বা চুলে পানি লাগানো জরুরী নয়। আপনি দৈনিক কতটা সময় বাইরে থাকেন সেটার ওপরে নির্ভর করে চুল ধোবেন। চুল নোংরা না হলে রোজ চুলে পানি লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে যাদের বেশী লম্বা ও ঘন চুল, তাঁরা তো মোটেও এটা করবেন না। এমন চুল শুকাতে সময় লাগে, অনেকটা সময় গোঁড়া ভেজা থাকার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়।
http://kissskincarebd.blogspot.com
২) দিনে ২/৩ বার গোসলের অভ্যাস থাকলেও ২/৩ বারই চুল ভেজাবেন না। এর চাইতে খারাপ অভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না।
৩) রোজ চুলে শ্যাম্পু করবেন না, সেটা যত ভালো ও দামী শ্যাম্পুই হোক না কেন।৪) প্রত্যেকবার শ্যাম্পু করার সময় কন্ডিশনার ব্যবহার করা আরেকটি বড় ভুল। আমরা প্রায় সকলেই মনে করি যে কন্ডিশনার লাগালে চুল ভালো থাকে। এটি আসলে খুবই ভুল একটি ধারণা। কন্ডিশনার লাগালে চুল ভালো থাকে না, বরং সাময়িক একটা নরম ও উজ্জ্বলতা আসে কন্ডিশনারে উপস্থিত রাসায়নিকের কারণে যা মোটেও ভালো নয়। বরং নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায় অনেক বেশী।
৫) গোসলের পর পরই ভেজা চুল আঁচড়াতে বসে যাওয়া আরেকটি বড় চুল। গোসলের পর চুল থাকে নরম ও ভঙ্গুর। এমন সময়ে আঁচড়ালে চুল ভেঙে ও ঝরে যাওয়ার হার বেড়ে যায় অনেক।
৬) গোসলে যাওয়ার আগে বা শ্যাম্পু করার আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে চুলে জট পড়বে না, চুল ভাঙবে না ও ছিঁড়বে না।
৭) তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে চুল মোছার অভ্যাস বাদ দিন। এই বাজে অভ্যাসের কারণে চুলের আগা ফেটে যায় ও প্রচুর চুল ঝরে।
৮) গোসলের পর অনেকটা সময় মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না। এতে চুলের ওপরে চাপ পড়ে, চুল ভেঙে যায়, যত দ্রুত সম্ভব চুল শুকিয়ে ফেলুন।
৯) চুল দ্রুত শুকাবার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা বা রোদে বসে চুল শুকানো আরেকটি ভুল অভ্যাস। অতিরিক্ত উত্তাপে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফ্যানের বাতাসের নিচে চুল শুকানোই উত্তম।
১০) অনেকেই আছে দুপুরে বা রাতে গোসলের পর চুল পুরোপুরি না শুকিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, এই কাজটি মোটেও করবেন না। এতে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যায়।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

 

চেহারায় গোলাপি আভা ফুটিয়ে নিখুঁত ফর্সা ত্বক পেতে

মেকআপের সময় আমরা গালের ওপর হালকা গোলাপি বা পীচ রঙের ব্লাশঅন ব্যবহার করে থাকি। এতে গালের ত্বক হালকা গোলাপি আভা চলে আসে যা মেকআপে পরিপূর্ণতা দেয়। এবং হালকা গোলাপি আভা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
কেমন হয় যদি মেকআপ ছাড়াই চেহারায় ফুটে ওঠে গোলাপি আভা? এবং তাও শতভাগ প্রাকৃতিক উপায়ে, অর্থ খরচ ছাড়া? হ্যাঁ, এটি সম্ভব। খুব সহজে ঘরে ত্বকের কিছু যত্নআত্তিতে গোলাপি আভা আনতে পারবেন। আপনার ত্বক হবে নিখুঁত ফর্সা ও উজ্জ্বল। যিনি একবার তাকাবেন, তাকিয়েই থাকবে। আর হ্যাঁ, মুখে বয়সের ছাপ থাকলে সেটাও দূরে হয়ে চেহারা হবে তরুণ। চলুন তবে আজ দেখে নেয়া যাক সেই প্রাকৃতিক উপায়গুলো।
চেহারায় গোলাপি আভা ফুটিয়ে নিখুঁত ফর্সা ত্বক পেতে-
কলার মাস্ক:
একটি পাকা কলা খোসা ছাড়িয়ে একটি চামচ দিয়ে পিষে দিন। এই কলায় ২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান। পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে ত্বকে দেখতে পাবেন গোলাপি আভা।
ময়েসচারাইজার ক্রিম সঠিকভাবে ম্যাসেজ করুন:
কোনো ভালো ও নামই ব্র্যান্ডের ময়েসচারাইজার ক্রিম ভালো করে সঠিক পদ্ধতিতে মুখের ত্বকে ম্যাসেজ করুন প্রতি রাতে। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখের ত্বকে ম্যাসেজ করুন ক্রিম। ত্বক ম্যাসেজের ফলে ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে করে ত্বকে আসে গোলাপি আভা।
ডিমের সাদা অংশ ও মধু:
১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে মুখে ভালো করে ম্যাসেজ করে লাগান। ১০ মিনিট ত্বকে রেখে দিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ত্বকে আবে গোলাপি আভা।
লেবু ও শসার রস:
১ টি তাজা লেবুর রস চিপে নিন। শসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি পাতলা কারণে ছেঁকে চিপে নিয়ে শসার রস বের করে নিন। এবার লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, শসার রস ২ টেবিল চামচ, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে লাগাবেন। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন।
মসুর ডাল:
কাঁচা দুধে মসুর ডাল ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এই ডাল ছেঁকে নিয়ে মিহি করে বেটে নিন। মধুর সাথে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকে আসবে গোলাপি আভা।

 

 

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে কার্যকরী ২ টি পদ্ধতি

http://kissskincarebd.blogspot.com
মুখের ছোটো ছোটো লোম অনেক সময় বিব্রতকর সমস্যার সৃষ্টি করে। নারী পুরুষ অনেকেই বিশেষ করে নারীরা নাকে, গালে, ঠোঁটের উপরে, কানের পাশে ইত্যাদি স্থানে অবাঞ্ছিত লোমের কারণে অনেকসময় লজ্জাকর পরিস্থিতি পড়ে যান। ওয়াক্সিং এবং থ্রেডিং করে অনেকে এই ধরনের অবাঞ্ছিত লোম দূর করেন ঠিকই কিন্তু তা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। এর থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই দূর করে ফেলুন না মুখের ত্বকের এই অবাঞ্ছিত লোম। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক পদ্ধতি দুটো।
১) জিলেটিনের ব্যবহার
জিলেটিনের মাস্কের মাধ্যমে খুব সহজেই মুখের ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা সম্ভব হয়। এটি ওয়াক্সিংয়ের মতোই তবে এতে ব্যথা লাগে না বা লাগলেও অনেক কম যা আপনি অনায়েসেই সহ্য করে নিতে পারবেন।
– ১ টেবিল চামচ জিলেটিন, ২-৩ টেবিল চামচ দুধ, ৩-৪ ফোঁটা লেবুর রস একটি বাটিতে নিয়ে ওভেনে ১৫-২০ সেকেন্ড হিট দিয়ে নিন।
– মিশ্রণটি ভালো করে গুলে একটি ব্রাশ দিয়ে পুরো মুখে লাগান (চোখের চারপাশ, ভ্রু এবং হেয়ার লাইন বাদ দিয়ে)
– পুরোপুরি শুকিয়ে যেতে দিন মিশ্রণটি। এরপর ধরে ধীরে তুলে ফেলুন। দেখবেন একেবারেই সহজে তুলে ফেলতে পারছেন মুখের অবাঞ্ছিত লোম।
২) ওটমিল মাস্ক
ওটমিল একটু গুঁড়ো ধরণের হয় বলে এটি ত্বকের উপরের মরা কোষ সহ মুখের ত্বকের অবাঞ্ছিত লোমও তুলতে বেশ কার্যকরী।
– ১ চা চামচ ওটমিল, ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– এই মাস্কটি মুখের ত্বকের অবাঞ্ছিত লোমের উপরে ভালো করে ঘষে নিন। তবে অবশ্যই আলতো ঘষা দেবেন।
– প্রায় ১৫ মিনিট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে নিন এই মাস্কটি। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
– ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

 

 

ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে গোলাপী আভা ফুটিয়ে তুলুন ছোট্ট ১ টি কাজে

http://kissskincarebd.blogspot.com
অনেকেরই মুখের ত্বকের তুলনায় ঠোঁট একটু কালচে দেখায়, যা নিয়ে আফসোস করেন প্রায়ই। মূলত খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা, ধূমপান করা এবং অতিরিক্ত কেমিক্যাল সমৃদ্ধ লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহারে কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে আসে। আবার অনেকের যত্নের অভাবে ঠোঁটের উপরের চামড়া মরে ফেটে কালচে ভাব চলে আসে। কিন্তু প্রতিদিন রাতের ছোট্ট মাত্র ১ টি কাজে খুব সহজেই ঠোঁটের এই কালচে ভাব দূর করে দিতে পারেন। এবং পেতে পারেন শিশুদের মতো নরম, কোমল, গোলাপী ঠোঁট। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক খুব সহজ পদ্ধতিটি।
যা যা লাগবেঃ
– ১ চা চামচ মধু
– ৩ চা চামচ ব্রাউন চিনি (সাধারণ সাদা চিনি হলেও চলবে)
– অর্ধেকটা লেবুর রস
– কাঠবাদামের তেল (আমন্ড অয়েল)
পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিঃ
– প্রথমে মধুতে চিনি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন যেনো চিনি কিছুটা গলে যায়। এতে করে মিশ্রণটি মসৃণ হবে।
– এরপর একটি লেবুর অর্ধেকটা চিপে তাজা রস বের করে নিন এবং মিশ্রনে দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। প্রায় পেস্টের মতো হয়ে যাবে, তবে চিনি কিছুটা আস্ত থাকবে।
– প্রথমে ঠোঁট খুব ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
– এরপর প্রায় ১ মিনিট এই স্ক্রাবটি ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না।
– তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন। সব শেষে সামান্য আমন্ড অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন পুরো রাত।
– ব্যস, এই সামান্য কাজটুকু প্রতিরাতে করুন কয়েক সপ্তাহ আর এতেই আপনি পেয়ে যাবেন শিশুদের মতো নরম, কোমল, গোলাপী ঠোঁট।
– এই মিশ্রণটি বেশি তৈরি করে রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে। অনেকটা সময় ভালো থাকবে।সহ
স্ক্রাবটির কার্যকারিতা
– চিনি খুব ভালো প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা আপনার ঠোঁটের উপরের মরা চামড়া দূর করে ঠোঁটের ভেতরের গোলাপী আভা ফুটিয়ে তোলে।
– মধু প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার। এতে করে আপনার ঠোঁট অনেক নরম ও কোমল হবে।
– লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং এফেক্ট ঠোঁটের কালচে ভাব একেবারেই দূর করে দিয়ে ঠোঁটের রঙ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
– আমন্ড অয়েলের ত্বকের রঙ ফর্সা করার কার্যকরী ক্ষমতা রয়েছে, এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।

 



সানস্ক্রিন
বাইরে গেলেই রোদে আমাদের সবার ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায়। সূর্যের আলোতে উপস্থিত ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি এর উপস্থিতির কারনে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত। আর তাই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজন সানস্ক্রিন একটি অতি জরুরি জিনিস। আসুন জেনে নেয়া যাক সানস্ক্রিন ব্যবহারের নিয়মকানুন সম্পর্কে।

সানস্ক্রিন ব্যবহারের নিয়ম :
*প্রথমে মুখ ভালো করে ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন।
*এবার পুরো মুখে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
*শুকিয়ে গেলে নাকের উপর, গালের উচু অংশে ও কপালে ভ্রু এর উপরে আরেক স্তর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। ত্বকের এসব স্থান রোদে বেশি পুড়ে যায়।
*সানস্ক্রিন হাতে ও পায়ের খোলা অংশেও লাগিয়ে নিন।
*সানস্ক্রিন লাগিয়ে এর উপর অনায়েসেই মেকআপ করতে পারবেন।
*সানস্ক্রিন লাগানোর অন্তত ৩ মিনিট পর বাইরে বের হওয়া উচিত। ৩০ মিনিটের আগে সূর্যের আলোতে যাওয়া উচিত নয়।
*প্রতি ২ ঘন্টা পর পর মুখ ধুয়ে আবার নতুন করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগাতে হয়। কারণ সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি মেঘলা দিনেও ত্বকের ক্ষতি করে।
লাইক দিলে আমরা অনুপ্রানিত হই। আপনি নিজেও যদি লাইক না দেন তাহলে কয়েকদিন পর পরবর্তী পোস্টগুলো আর দেখতে পাবেন না।তাই লাইক

0 comments:

Post a Comment