নজরকাড়া ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন

কোন মানুষটি সব চাইতে বেশি আকর্ষণীয় বলুন তো? যিনি অনেক বেশি সুন্দর, নাকি যার ব্যক্তিত্ব অনেক সুন্দর। অনেকেই উত্তর দেবেন- যিনি দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, যখন এই সৌন্দর্য সময়ের সাথে সাথে মলিন হয়ে পড়বে, তখনও কি তিনি আকর্ষণীয় থাকবেন আপনার চোখে?
মানুষের মূল সৌন্দর্যটা আসলে বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। মানুষের আসল সৌন্দর্য নিজের ব্যক্তিত্ব, যা সময়ের সাথে সাথে মলিন হয় না। নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যটাকে বৃদ্ধি করার জন্য কতো কিছুই না করে থাকেন। কিন্তু নিজের ভেতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বলতে গেলে কিছুই করেন না, বরং দিনে দিনে তা আরও কুৎসিত করে ফেলছেন। এতে কিন্তু বাইরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলেও আকর্ষণীয়তা হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্যের দিকে না ঝুঁকে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন চমৎকার ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে।
অশালীন ভাষা ব্যবহার করবেন না
বন্ধুদের সাথে আড্ডায় কিংবা রাস্তাঘাটে কারো সাথে অথবা ফোনে অন্য একজনের সাথে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে নিজেকে অনেকেই বড় ভাবেন। কিন্তু এতে কিন্তু আপনার মনের কুৎসিত দিকটাই প্রকাশ পায়। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে এই সকল অশালীন ভাষা বর্জন করুন। আপনার ভাষা সুন্দর হলে আপনি অন্যের কাছে হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়।
একজন মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার মানে এই নয় যে আপনি নিজে তার কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছেন। রিক্সাচালক, ওয়েটার এবং আপনার চাইতে নিচু শ্রেণীতে কাজ করেন যারা তারা সবাই মানুষ। আপনি শুধুমাত্র তাদের চাইতে উপরের লেভেলে কাজ করেন বলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার কিছু নেই। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে সকলকে সম্মান দিতে শিখুন। এতে আপনি নজরে পড়বেন সবার।
আচার আচরণে মার্জিত ভাব বজায় রাখুন
একজন মানুষের আচার আচরণ তার সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে। এবং মার্জিত আচরণ যে কারো কাছে আকর্ষণীয়। আপনি যার সাথেই কথা বলুন না কেন আপনার কথার মধ্যে যেন মার্জিত ভাব বজায় থাকে। আপনার চাইতে বড় বয়সের কারো সাথে বেয়াদবি এবং ছোট কারো সাথে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা কথা বলা অমার্জিত আচরণ। নিজেকে তাদের সামনে ছোট করবেন না অমার্জিত আচরণ করে। নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুন মার্জিত আচরণে।
পোশাক আশাকে শালীনতা বজায় রাখুন
আপনি কোন ধরণের ব্যক্তিত্ব এবং মানসিকতার মানুষ তা আপনার আচরণ এবং সেই সাথে পোশাকের মাধ্যমেও প্রকাশ পেয়ে যায়। পোশাকের মাধ্যমে আপনি নিজেকে অনেক ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন। আপনি যদি পোশাকে শালীনতা বজায় না রাখেন তাহলে মানুষ আপনাকে ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ ভাববেন না। এবং অশালীন পোশাক দেখতে যতোই সুন্দর হোক না কেন আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে না।

 

রেশমি ও ঘন চুল পাওয়ার সহজ উপায়


জবা ফুল দেখেন নি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ফুলটি দেখতে খুব সুন্দর। কারো ফুলের বাগান থাকলে সেখানে জবার একটা গাছ থাকেই। তাই এটা সহজপ্রাপ্য একটি ফুল। বলতে চাইছি রেশমি চুলের কথা, কিন্তু চুলের মধ্যে জবা ফুল কোথা থেকে এলো? নিয়ে আসলাম না হয় একটু কারণ এই জবা ফুল আপনাকে এনে দিতে পারে চোখ ধাঁধানো রেশমি ও ঘন চল। বেশ আনন্দের কথা তাই না? সুন্দর ফুলের প্রাকৃতিক পরিচর্যা। উপকার না হয়ে যায় কোথায়!
যা লাগবেঃ
১০ টি বা এর বেশী জবা ফুল
নারিকেল তেল বা পছন্দমতো তেল
যা করতে হবেঃ
ফুলগুলো হামানদিস্তায় পিষে নিন। এরপর এতে যোগ করুন তেল। মিশ্রণটি মাথার চামড়া থেকে শুরু করে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করুন। এরপর যেকোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হারবাল শ্যাম্পু হলে ভালো হয়, যদি আপনার চুলে স্যুট করে। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন করলে এক মাসের ভিতরেই চুলে আসবে অসাধারণ উজ্জ্বলতা। এমনকি কারো চুল যদি সব সময় নির্জীব বা অনুজ্জ্বল থাকে তাহলেও এই মিশ্রণ ব্যবহারের ফলে চুল হবে রেশমি ও ঘন।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।

0 comments:

Post a Comment